শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:২৭ অপরাহ্ন
বিনোদন ডেস্ক:
কার্টুন চরিত্রের নেপথ্যকণ্ঠশিল্পী হিসাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন রাতারাতি। বর্তমানে ভারতের দক্ষিণী চলচ্চিত্রজগতে অল্লু অর্জুন, বিজয়ের মতো সুপারস্টারের ছবিতে কণ্ঠ দিয়ে কোটি টাকা উপার্জন করছেন সঙ্কেত মাত্রে।
১৯৮৮ সালের ২৭ জুলাই মুম্বইয়ে জন্ম। পড়াশোনা শেষ করে মুম্বাইয়ের একটি ডাবিং স্টুডিওতে কাজ শুরু করেন। কিন্তু নেপথ্যকণ্ঠশিল্পী হিসাবে পেশা গড়ে তুলবেন তা কখনো ভাবেননি সঙ্কেত।
ডাবিং স্টুডিওতে কর্মরত থাকাকালীন সেখানকার একজন সঙ্কেতকে হঠাৎ টিয়া পাখির আওয়াজ নকল করে শোনাতে বলেন। অবিকল টিয়ার মতো আওয়াজ শোনানোর পর স্টুডিওর সকলের কাছে প্রশংসা পান সঙ্কেত।
‘বেন ১০ অ্যালিয়েন ফোর্স’ নামে একটি জনপ্রিয় কার্টুনের মুখ্যচরিত্র বেনের নেপথ্যকণ্ঠ হিসাবে প্রথম কাজ করেন সঙ্কেত। বেনের চরিত্রের নেপথ্যকণ্ঠ হওয়ার সময় ১০ ধরনের আলাদা আওয়াজ ব্যবহার করেন তিনি। বেন চরিত্রের নেপথ্যকণ্ঠশিল্পী হিসাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন সঙ্কেত। এর পর বিভিন্ন দক্ষিণী ছবির হিন্দি ডাবিংয়ের সময়েও নেপথ্যকণ্ঠশিল্পী হিসাবে কাজ করতে দেখা গেছে তাকে।
‘ডিজে: দেব্বারাজগন্নধাম’, ‘সাররাইনোড়ু’, ‘এস/ও সত্যমুর্তি’, ‘না পেরু সুরি’, ‘নাল্লু ইন্ডিয়া’র মতো দক্ষিণী ছবির হিন্দি ডাবিংয়ের ক্ষেত্রে তেলুগু অভিনেতা অল্লু অর্জুনের কণ্ঠ দেন সঙ্কেত। ‘থুপাক্কি’ ও ‘বিজয় দ্য মাস্টার’ ছবির হিন্দি ডাবিংয়ের সময় বিজয় থালাপাতির কণ্ঠ দেন সঙ্কেত। ২০২২ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার ২’। এ ছবির হিন্দি ডাবিংয়ে যশের নেপথ্যকণ্ঠ ছিলেন সঙ্কেত।
অল্লু অর্জুন, বিজয় এবং যশ ছাড়াও জুনিয়র এনটিআর, মহেশ বাবু, ধনুশ, সূর্য, বিশাল, রামচরণ, নিতিন, রাঘব লরেন্স-সহ অনেক দক্ষিণী তারকার ছবিতে কণ্ঠ দেন সঙ্কেত।
তামিল, তেলুগু, মারাঠি ছবির পাশাপাশি হলিউড ছবিতেও কণ্ঠ দেন সঙ্কেত। ‘ইনগ্লোরিয়াস বাসটার্ডস’, ‘ডেডপুল’, ‘গ্রিন ল্যান্টার্ন’, ‘দ্য ক্রুডস’, ‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা: দ্য ফার্স্ট অ্যাভেঞ্জার্স’, ‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা: দ্য উইন্টার সোলজার’ এবং ‘দ্য মার্শিয়ান’-এর মতো ইংরেজি ছবির হিন্দি ডাবিংয়ে কণ্ঠ দেন তিনি।
‘ছোটা ভীম’ কার্টুনের জগ্গু হোক বা ‘দ্য লিজেন্ড অব হনুমান’ কার্টুনের রাম— নেপথ্যকণ্ঠ হিসাবে শোনা গেছে তাকেই। ‘নারুটো’, ‘বেব্লেড: মেটাল ফিউসন’, ‘ডিডেক্টিভ পিকাচু’তেও বিভিন্ন চরিত্রে কণ্ঠ দেন সঙ্কেত।
জানা গেছে, প্রতিটি কাজের জন্য ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা পারিশ্রমিক নেন সঙ্কেত। তার বার্ষিক আয় আনুমানিক তিন কোটি টাকা। সোশালে সঙ্কেতের অনুরাগীও কম নয়। বর্তমানে নেপথ্যকণ্ঠ হিসাবে কাজ করার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জায়গায় ‘ভয়েস ডাবিং’ প্রশিক্ষণ দেন সঙ্কেত।
ভয়েস/আআ